বাদাম তেল
বাংলাদেশে জয়পুরী কাঠের ঘানিতে প্রস্তুত করছে বাদাম তেল। এই তেল উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ। এর অনেক উপকারিতার মাঝে কয়েকটিঃ
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: পুষ্টির অভাবজনিত রোগব্যাধিকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়াও কাশি, সর্দি জ্বর মাথা ব্যাথা ও শারীরিক দুর্বলতা কমাতে ভূমিকা রাখে।
- ত্বক উজ্জ্বল করেঃ বাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফাইবার এবং চর্বি যা নিয়মিত খেলে শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। যার কারণে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
- চুলের পুষ্টি জোগায়: বাদামে বিদ্যমান ভিটামিন ই চুলকে উজ্জ্বল করে এবং মোটা করে।
- মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: বাদামে বিদ্যমান বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ওমেগা থ্রি ও সিক্স মস্তিষ্ক কে শক্তিশালী হতে সহায়তা করে।
- বাদাম তেল চুল এবং ত্বকের যত্নের জন্য একটি উৎকৃষ্টমানের তেল। এর শক্তিশালী পুষ্টি উপাদান এবং উপকারী বৈশিষ্ট্য চুল এবং ত্বক ভালো রাখতে চমৎকার কাজ করে। এটি শরীরের ত্বকের জন্য একটি চমৎকার ময়েশ্চারাইজার।
বাদামের তেলের উপকারিতা
- বাদাম তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই এটি স্কিন এর যেকোনো চর্ম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
- এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা। এটি শরীরে শক্তির সঞ্চালন করে।
- বাদামে ভিটামিন-ই আছে। ভিটামিন-ই ত্বকের জন্য অতান্ত কার্যকারী। এটি সূর্যের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
- এই তেল হলো প্রাকৃতিক ময়েশচারাইজার। এতে কোন কেমিক্যাল বা প্রিজেরভেটিভ নেই।
- এই তেল দিয়ে মাংসপেশী ম্যাসেজ করলে তা মাংসপেশীর জন্য চমৎকার কাজ করে।
- বাদাম শরীরে ব্লাড সুগার এর ব্যালেন্স রাখে। তাই এই তেল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
তাই বাদাম তেল যোগ করুন আপনার রান্নার লিস্টে।
জয়পুরী কাঠের ঘানিতে প্রস্তুত করছে বাদাম তেল।
অর্ডার করতে আমাদের মেসেজ দিন। বা যোগাযোগ করুন।
ভোজ্য তেলের যে সংকট বাংলাদেশ ফেস করছে, এই সংকটের মূল কারণ পরনির্ভরতা। সোয়াবিন তেল আমদানির উপরই আমাদের নির্ভর করতে হয়।
আগামী দুই বছর নিশ্চিত সংকটের পরও স্থায়ী কোন সমাধান বাংলাদেশ পাবে না। যতদিন না নিজেরাই তেলের ব্যবস্থা করে নেয়। এজন্য দরকার বন্ধু রিপনের মতো আরো উদ্যোক্তা তৈরি হওয়া।
আর আমার জ্ঞানমতে কোনো দেশের প্রকৃতির উপর মিল রেখেই সে দেশে ফসল ফলে।
আমাদের শরীরে সয়াবিন তেমন একটা সুইটাবল নয় তবু রান্নার কাজে সয়াবিন ছাড়া আমরা আর কিছুই কল্পনা করতে পারি না।
আমাদের দেশে চরাঞ্চলে প্রচুর বাদাম উৎপাদন হয় আর উৎপাদন খরচও কম।
এটাকে কাজে লাগানো উচিৎ।
আমদানি তেলের সংকট, সু্স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সুদূরপ্রসারী ভাবনায় আমাদের ৯৭/৯৯ এর বন্ধু রিপন এই বাদাম ও সরিষার তেল উৎপাদনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
আমি ওর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
অনেকে বলেন এতো দাম দিয়ে কি করে খাব! হ্যাঁ, খরচ একটু হলেও বেশি তো আসুন খরচের হিসাবেঃ
বাদাম তেল মাসে হয়ত লাগবে ১ বা ২ লিটার। কারণ, বাদাম তেলের ঘনত্ব সয়াবিন তেলের চেয়ে বেশি।
খরচ কত বাড়বে?
২ লিটার বাদাম তেল = ৩.৫ লিটার সয়াবিন
১৭৮০ টাকা = ৭০০ টাকা
স্বাস্থ্যকর = স্বাস্থ্য যদি ভাল থাকে তবে কোনটা বেশি ভাল হবে?
সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
আমি তেলটা নিয়েছি আমার খুব ভালো লেগেছে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে একটা জিনিস বিশ্বাস করবেন যে ছোটোছোটো উদ্যোক্তারা মিনিমাম আপনাকে ভেজাল দিবে না।
Waliul Hasan Ripon কাঠের ঘানিতে তেলটা তৈরি করে খুব যত্ন করে।
আপনারা নিতে পারেন। ওর উদ্যোগের নাম ‘জয়পুরী‘
Best of luck!
Thanks!