তরমুজের উপকারিতা জেনে নিন
তরমুজের উপকারিতা অনেকেই জানেন এবং পছন্দ করে এই ফল।মিষ্টি, রসালো স্বাদের এই ফলটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
পুষ্টিবিদদের মতে প্রতি ১০০ গ্রাম তরতাজা তরমুজে খাদ্য আছেঃ
- জলীয় অংশ ৯৫.৮ gm
- আমিষ ০.৫ gm
- আঁশ ০.২ gm
- চর্বি ০.২ gm
- শ্বেসার ৬.৫ gm
- শর্করা ৩.৩ gm
- ভিটামিন A ৫৬৯ mm
- ভিটামিন C ৬ mm
- খাদ্যশক্তি ১৬ mm
- ক্যালসিয়াম ১১ mm
- ফসফরাস ১২ mm
- লৌহ ৭.৯ mm
- ভিটামিন B1 ০.০৩ mm
- ভিটামিন B2 ০.০৪ mm
তরমুজ খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবেঃ
- তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে।এটি শরীরে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার করে কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমায়। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি মূত্রথলি সুস্থ রাখতেও ভূমিকা রাখে।
- এতে ৯২% পানি থাকে। এ জন্য গরমের সময় ঘামের কারণে যে পানিশূন্যতা তৈরি হয় তা দূর করতে এটি ভূমিকা রাখে।
- প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণ কার্যকরী।এ কারণে এটি রক্ত জমাট বাঁধা, স্ট্রোক, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে।
- ভিটামিন ও খনিজ থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এটি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে তরমুজ। এতে থাকা ভিটামিন, বিটা ক্যারোটিন চোখ ভাল রাখে এবং বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি খারাপ হওয়া রোধ করে।
তরমুজের ঔষধী গুণঃ
- গরমে যারা বেশী ঘামেন তারা প্রচুর পরিমাণে তরমুজ খান।
- যাদের পায়খানা কম হয় বা শক্ত হয় তারা নিয়মিত তরমুজ খান বেশ উপকার পাবেন।
- যারা ঘন ঘন সর্দি বা ঠান্ডায় আক্রান্ত হন তারা তরমুজ খান উপকার পাবেন।
- যাদের টাইফয়েড জ্বর তারা তরমুজ/ রস/ শরবত খান, জ্বরের তীব্রতা কমে আসবে।
- যাদের প্রসাবে জ্বালা পোড়া করে বা প্রস্রাব কম হয় তারা নিয়মিত তরমুজ খান উপকার পাবেন।
- যারা রোগা রোগা টাইপ এবং শরীরে রক্ত কম, সামান্য কাজ করলে শরীর হাঁপিয়ে উঠে তারা নিয়মিত তরমুজ খান বেশ উপকার পাবেন।
- যেসব মহিলার মাসিকের পর শরীর বেশী দুর্বল হয়ে যায় তারা সকাল বিকাল তরমুজ খান শরীরে রক্ত তৈরি হবে দুর্বলতা কমে আসবে।
- যাদের মুখে মেসতা বা ছোপ ছোপ কালছে দাগ আছে তাদের লিভারে সমস্যায় এমন দেখা দেয়। তারা নিয়মিত তরমুজ খান সমস্যা কমে আসবে।
- যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা নিয়মিত তরমুজ খান রক্তের চাপ কমে আসবে। কারণ তরমুজের পটাশিয়াম উচ্চ রক্ত চাপ কমিয়ে দেয়।
- যাদের হৃদপিন্ডে সমস্যা বা হৃদরোগ আছে বা যাদের বুক ধরফর করে তারা নিয়মিত তরমুজ খান উপকার পাবেন।
- তরমুজের সাইট্রলিন হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
- চামড়ার সৌন্দর্য এবং তারুণ্য ধরে রাখতে তরমুজ বেশ উপকারী।
সতর্কতাঃ
- রাস্তার মোড়ে মোড়ে বা বাজারে খোলা অবস্থায় রাখা কাটা তরমুজ খাবেন না।
- তরমুজ কেটে ফ্রিজে ভরে রাখবেন না। এতে খাদ্য উপাদান কমে যায়।
- যেকোন ফল কেটে খোলা অবস্থায় রাখবেন না। এতে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়।
- তরমুজে শাঁস অধিক লাল করার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম রং ভিতরে প্রবেশ করিয়ে থাকে এমন তরমুজ কিনবেন না খাবেন না।
- তরমুজ কাটার পর শাঁস হাতে লাগলে কিছু রং হাতে লাগে এ তরমুজটি খাবেন না।
- তরমুজ কেনার সময় দেখে নিবেন যেন তরমুজ তাজা এবং পাকা হয়।
- পাকা তরমুজের ওজন তার আকারের চেয়ে বেশী হয় এবং ঠনঠন শব্দ করে।
- তরমুজের যে অংশে মাঠির স্পর্শে থাকে সে অংশ সাদা বা সবুজ হলে বুঝবেন তরমুজটি পাকা নয়। কিন্তু হলদে হলে পাকা ও পরিপক্ক।
দেশীয় ফল খান সুস্থ থাকুন। তরমুজের উপকারিতা সম্বন্ধে যদি কোন জিজ্ঞাসা থাকে তবে একটা মেসেজ দিন।
তথ্য সূত্রঃ উইকি,
website took a lot longer to load 🙁
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। আমরা কাজ করছি এ বিষয় নিয়ে। আশাকরি জয়পুরীর পাশেই থাকবেন।
Thanks for the good article, I hope you continue to work as well.
Thanks for the good article, I hope you continue to work as well.